শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত: সম্মানিত পাঠক ভাইবোন বন্ধু গণ আপনাদের উদ্দেশ্যে আজকে শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন তুলে ধরব। ইসলামী পরিভাষায় শবে মেরাজ বা লাইলাতুল মেরাজ একটি বিশেষ রাত। এ রাতে মূলত আল্লাহর সাথে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাক্ষাত করেছিল এবং মুসলমানদের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছিলেন। তাইতো এ রাতের গুরুত্ব ইসলামে রয়েছে। কিন্তু বর্তমান সময়ে মুসলমানদের মাঝে এরাত নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মতামত পোষণ করতে দেখা গেছে এজন্য আমরা আজকে আপনাদের উদ্দেশ্যে শবে মেরাজের গুরুত্ব ফজিলত সম্পর্কিত তথ্যগুলো নিয়ে এসেছি যেখানে কোরআন ও হাদিসের আলোকে তুলে ধরা হয়েছে। তাই আপনারা যারা শবে মেরাজের গুরুত্ব ফজিলত সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করছেন তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রতিবেদনটি দেখে নিন।

ইসলাম ধর্মের লাইলাতুল মেরাজ যা শবে মেরাজ নামে অধিকতর পরিচিত। লাইলাতুল মিরাজ কিংবা শবে মেরাজ মুসলমানদের কাছে একটি পালিত ধর্মীয় উৎসব। এটি একটি বিশেষ রাত যে রাতে অলৌকিকভাবে মহান আল্লাহ তায়ালার সাথে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাক্ষাত ঘটেছিল। ইসলাম ধর্মালম্বীদের কাছে অন্যান্য ধর্মীয় উৎসবের উন্নত শবে মেরাজ লাইলাতুল মেরাজের গুরুত্ব রয়েছে। কেননা এই বিশেষ রাতে ইসলাম ধর্মালম্বীদের জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুখবর নিয়ে এসেছিলেন। এদিনের মূলত ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরজ করা হয়েছিল।

তাইতো এই রাতটির গুরুত্ব ও ফজিলত প্রতিটি মুসলমানদের জীবনী রয়েছে। শবে বরাত কিংবা লাইলাতুল মেরাজ অনেক মুসলমান রয়েছে যারা উদযাপন করে থাকে আবার অনেকে রয়েছে এই রাতটিকে পালন করা যারা বিদআত মনে করেন। তবে ইসলামে এর পালন সম্পর্কে দ্বিমত থাকলেও শবে মেরাজের গুরুত্ব রয়েছে। তাই প্রতিটি ধর্মপ্রাণ মুসলিমের উচিত শবে মেরাজ এর গুরুত্ব ফজিলত সম্পর্কে জেনে নিয়ে এবং শবে মেরাজ সম্পর্কে সঠিক তথ্যগুলো কোরআন হাদিসের আলোকে জেনে নিয়ে যথাযথভাবে পালন করা।

শবে মেরাজের গুরুত্ব

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে বিশেষ ফজিলতপূর্ণ অন্যতম একটি রাত শবে মেরাজ যার লাইলাতুল মেরাজ নামেও পরিচিত। এই রাত কি বিশেষ বলার কারণ হলো এই রাতে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অলৌকিকভাবে আল্লাহর কাছে সাক্ষাত লাভ করেছিলেন এবং এই রাতে ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ নামাজ কায়েম করা হয়েছে এবং দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত মুসলমানদের উপর ফরজ করা হয়েছে। তাইতো আমরা আজকে শবে মেরাজের গুরুত্ব নিয়ে আপনাদের উদ্দেশ্যে এই নিবন্ধটি তুলে ধরেছে যেখানে আপনারা লাইলাতুল মেরাজ কিংবা শবে মেরাজের গুরুত্ব মুসলিমদের টুকু এবং ইসলামের এর গুরুত্ব কতটুকু সে সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন। আমরা আপনাদের মাঝে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে এই তথ্যগুলো তুলে ধরবো।

মেরাজ অর্থ কি:

মেরাজ আরবি শব্দ, শাব্দিক অর্থ ঊর্ধ্বগমন, আকাশপথে ভ্রমণ করা, সোপান ইত্যাদি। রজব মাসের ২৭ তারিখ রাতে জাগ্রত অবস্থায় মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা, এরপর বোরাকে করে ঊর্ধ্বাকাশ পাড়ি দেওয়ার মাধ্যমে আরশে আজিমে পৌঁছে আল্লাহর দিদার লাভ করার নামই মেরাজ। কোরআনে কারিমে আল্লাহ বলেন, ‘পবিত্র সত্তা তিনি, যিনি বান্দাকে তাঁর নিদর্শনগুলো দেখানোর জন্য রাত্রিকালে ভ্রমণ করিয়েছেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত। যার পরিবেশ পবিত্র, নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ১)

শবে মেরাজ কী ও কেন?

লাইলাতুন বা শব অর্থ হলো- রাত আর মেরাজ অর্থ ঊর্ধ্বগমন। শবে মেরাজ বা লাইলাতুল মেরাজের অর্থ দাঁড়ায়- ঊর্ধ্বগমনের রাত। ‘রজবের’ ২৭ তারিখ নবুয়তের দশম বর্ষে নবী কারিম (স.)-এর ৫০ বছর বয়সে পবিত্র মেরাজ সংঘটিত হয়। (সূত্র: সিরাতে মোস্তফা: আশেকে এলাহি মিরাঠি, ও তারিখুল ইসলাম: মাওলানা হিফজুর রহমান সিহারভি)

শবে মেরাজ এর ফজিলত

ইসলাম মতে যে কয়েকটি বিশেষ রাতের কথা কোরআন হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি রাত হচ্ছে শবে মেরাজ বা লাইলাতুল মেরাজ। এটি অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ রাতগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। এই রাতে আল্লাহ তায়ালার সাথে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাক্ষাৎ করেছিলেন এবং পবিত্র নামাজের বিধান নিয়ে পৃথিবীতে এসেছিলেন। তাইতো মুসলিমদের কাছে এই রাতটির অত্যন্ত ফজিলত রয়েছে। এজন্য আমরা আজকে শবে মেরাজ এর ফজিলত সম্পর্কিত ছোট ছোট বাণী এবং হাদিস গুলো আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করব যেখান থেকে আপনারা শবে মেরাজের গুরুত্ব ফজিলত সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন এবং আপনার পরিবার পরিজনদের মাঝে জানিয়ে দিতে পারবেন। নিচে শবে মেরাজ এর ফজিলত তুলে ধরা হলো,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *