মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ| আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ

মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ: আপনাদের সকলকে জানাচ্ছি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ভাষার ইতিহাস সম্পর্কিত বিষয় সম্পর্কে যাদের জ্ঞান রয়েছে তারা অবশ্যই আন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব সম্পর্কে কিছু বিষয় সম্পর্কে জানবেন এই দিবস কেন পালন করা হয় কবে থেকে পালন করা হয় সম্পূর্ণ ইতিহাস সম্পর্কে জানা উচিত প্রতিটি বাঙালির। বাঙালিরা অনেক ত্যাগের মাধ্যমে পেয়েছে এই বাংলা ভাষা। উর্দুকে মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে বাঙালিরা ভাষা আন্দোলনের নামেন এবং এই ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাংলা হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা।

প্রতিটি ব্যক্তির উচিত এই ইতিহাস সম্পর্কিত বিষয় সম্পর্কে জানা তবেই বাংলার প্রতি শ্রদ্ধা বাড়বে। আমরা আমাদের আলোচনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সম্পর্কিত বিষয় সম্পর্কে সুন্দর একটি অনুচ্ছেদ প্রদান করে সহযোগিতা করব আপনাদের। আপনি যদি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে কেন্দ্র করে অনুচ্ছেদ সম্পর্কিত বিষয় সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করে অনুসন্ধান করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের আলোচনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে কেন্দ্র করে সুন্দর একটি অনুচ্ছেদ সংগ্রহ করতে পারবেন।

মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ

মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদে আপনাকে স্বাগতম। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে কেন্দ্র করে অনেক ক্ষেত্রেই অনুচ্ছেদ অনুসন্ধান করে থাকেন শিক্ষার্থীগণ। ফেব্রুয়ারি মাসে এর সন্ধান সবথেকে বেশি লক্ষ্য করে থাকি আমরা একুশে ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিভিন্ন ধরনের আয়োজন করা হয়ে থাকে এক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা আর মাধ্যমে পুরস্কৃত করা হয় অনেক শিক্ষার্থীদের আর এই শিক্ষার্থীদের কে নির্বাচন করার ক্ষেত্রে ভাষা বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্ন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে বিষয়ভিত্তিক অনুচ্ছেদ লেখার বিষয়টি কমন এক্ষেত্রে আমরা এই আলোচনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুষ্ঠি প্রদান করব আপনাদের মাঝে।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ

একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির চির প্রেরণা ও অবিস্মরণীয় একটি দিন। এটি শুধু বাংলাদেশের নয়, এখন এটি “সারা বিশ্বের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। জাতির জীবনে শোকাবহ, গৌরবোজ্জ্বল, অহংকারে মহিমান্বিত চিরভাস্বর এই দিনটি। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ছিল ঔপনিবেশিক প্রভুত্ব ও শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে। বাঙালির প্রথম প্রতিরোধ এবং জাতীয় চেতনার প্রথম উন্মেষ ।

সেদিন মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রাখতে গিয়ে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল রফিক, জব্বার, সালাম, বরকত ও সফিউর। পৃথিবীর ইতিহাসে মাতৃভাষার জন্য রাজপথে বুকের রক্ত ঢেলে দেয়ার প্রথম নজির এটি। সেদিন তাদের রক্তের বিনিময়ে শৃঙ্খলযুক্ত হয়েছিল দুঃখিনী বর্ণমালা ও মায়ের ভাষা। আর এর মাধ্যমে বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশের যে সংগ্রামের সূচনা হয়েছিল তা মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় পথ বেয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করে।

১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে UNESCO কর্তৃক বাংলা ভাষাকে স্বীকৃতি বিশ্ব দরবারে এনে দিয়েছে এক বিশাল খ্যাতি। ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে বিশ্বজুড়ে অমর একুশের উদযাপন নিঃসন্দেহে এক বিশাল জাতীয় গৌরব ও সম্মানের। ২০০০ সাল থেকে UNESCO এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো এ দিবসটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *