ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষন ও প্রতিকার| ডেঙ্গু হয়েছে কি না কিভাবে জানবেন

ডেঙ্গু জ্বর একটি ভাইরাস জনিত জ্বর। ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত এডিস মশার কামড়ে হয়ে থাকে। ডেঙ্গু ভাইরাসজনিত গ্রীষ্মমন্ডলীয় একটি রোগ হচ্ছে ডেঙ্গু জ্বর। বর্তমান সময় বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে এই রোগটি মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। একজন মানুষের শরীরে এডিস মশার কামড়ের পর তিন থেকে পনের দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গ গুলো দেখা দেয়। ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গ গুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর মাথা ব্যাথা গিট ব্যথা বমি ও পেশিতে ব্যথা এছাড়া আরও বেশ কিছু উপসর্গ ডেঙ্গু আক্রান্ত একজন মানুষের শরীরে প্রকাশ পায়। বর্তমান সময় বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এখন বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে মারাত্মক ভাবে ভাইরাসনিত রোগ গুলো বিস্তার করেছে তার মধ্যে ডেঙ্গু এখন বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলের মানুষের ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তি সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ডেঙ্গু একটি ভাইরাস জনিত রোগ তাই এই ভাইরাস থেকে আমাদের সকলকে সচেতন থাকতে হবে। এজন্য আমরা আজকে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার এবং ডেঙ্গু হয়েছে কিনা কিভাবে জানবেন সে সম্পর্কে আপনাদের মাঝে আলোচনা করব।
বর্তমান সময় বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে ভাইরাস জনিত রোগ গুলোর বিস্তার ঘটেছে। ভাইরাস জনিত এই রোগ গুলো বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে এখন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিটি বয়সের মানুষের মাঝে এই রোগ গুলোর বিস্তার করার কারণে বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে এখন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মানুষের ব্যাপক জটিলতা পোহাতে হচ্ছে। ডেঙ্গু হচ্ছে একটি ভাইরাস জনিত রোগ যা সাধারণত এডিস মশার কামড়ে হয়ে থাকে। একজন সুস্থ মানুষের শরীরে এই মশার কামড়ের ৩ থেকে ১৫ দিনের পর ডেঙ্গুর উপসর্গ গুলো দেখা দেয় ডেঙ্গু রোগের উপসর্গ গুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর বমি মাথা ব্যাথা গিট ব্যাথা এছাড়া বেশ কিছু উপসর্গ মানুষের মাঝে দেখা দেয়। এই উপসর্গ গুলো ধীরে ধীরে প্রকাশিত হওয়ার পর ব্যক্তির শরীরে ডেঙ্গু মারাত্মক আকার ধারণ করে যার কারণে দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে। বর্তমান সময় বাংলাদেশে আবহাওয়া জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এখন বিরূপ প্রকৃতিতে এই রোগটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমান সময় বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলের মানুষ প্রতিনিয়ত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে এবং শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার হিসেবে আমাদের সকলকে প্রতিরোধের উপায় গুলো জানতে হবে।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ
ডেঙ্গু একটি ভাইরাস জনিত রোগ এটি সাধারণত এডিস মশার কামড়ে হয়ে থাকে। বর্তমান সময় বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে এই রোগটি মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। একজন মানুষের শরীরে ডেঙ্গু ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার ৩ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে ডেঙ্গুর জ্বরের লক্ষণ গুলো প্রকাশিত হয়ে থাকে। বর্তমানে এই রোগটি বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে তাই তো অনেকেই ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কে জানতে চান তাদের উদ্দেশ্যে আজকে আমরা ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণগুলো তুলে ধরেছি। আপনারাই প্রতিবেদনের আলোকে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিতে পারবেন এবং আপনার পরিচিত বন্ধুবান্ধব পরিবারের সদস্যদের মাঝে এই উপসর্গ গুলো দেখা দিলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে পারবেন। নিচে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ গুলো তুলে ধরা হলো,
১। ডেঙ্গুর ক্লাসিক্যাল জ্বরসমূহঃ
- ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বরে সাধারণত তীব্র জ্বর ও সেই সঙ্গে সারা শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়ে থাকে।
- জ্বর ১০৫ ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়ে থাকে।
- তীব্র পেটে ব্যথাও হতে পারে।
- শরীরে বিশেষ করে হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি এবং মাংসপেশীতে তীব্র ব্যথা হয়।
- এ ছাড়াও মাথাব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা হয়।
- এই জ্বরের আরেক নাম ব্রেক বোন ফিভার।
- জ্বর হওয়ার ৪ বা ৫ দিনের সময় সারা শরীরজুড়ে লালচে দানা দেখা যায়, যাকে বলা হয় স্কিন র্যাশ। যা অনেকটা এলার্জি বা ঘামাচির মতো।
- পাশাপাশি বমি বমি ভাব, এমনকি বমিও হতে পারে।
- রোগী অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ করে ও রুচি কমে যায়।
- সাধারণত ৪ বা ৫ দিন জ্বর থাকার পর তা এমনিতেই চলে যায়। কারও ক্ষেত্রে ২ বা ৩ দিন পর আবারও জ্বর আসে। যাকে বাই ফেজিক ফিভার বলে।
২। ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বরসমূহঃ
রোগীর এই অবস্থাটি সবচেয়ে জটিল। এই জ্বরে ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও উপসর্গের পাশাপাশি আরও সমস্যা দেখা দেয়। যেমন-
- শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্ত পড়া শুরু হয়। যেমন- চামড়ার নিচে, নাক ও মুখ দিয়ে, মাড়ি ও দাঁত হতে, কফের সঙ্গে, রক্তবমি, পায়খানার সাথে তাজা রক্ত বা কালো পায়খানা, চোখের মধ্যে এবং চোখের বাহিরে, নারীদের বেলায় অসময়ে ঋতুস্রাব অথবা রক্তক্ষরণ শুরু হলে অনেকদিন পর্যন্ত রক্ত পড়তে থাকা ইত্যাদি।
- এই রোগের বেলায় অনেক সময় বুকে পানি, পেটে পানি ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। অনেক সময় লিভার আক্রান্ত হয়ে রোগীর জন্ডিস হয়। আবার কিডনি আক্রান্ত হয়ে রেনাল ফেইলিউর ইত্যাদি জটিলতা দেখা দিতে পারে।
৩। ডেঙ্গু শক সিনড্রোমগুলোঃ
ডেঙ্গু জ্বরের ভয়াবহ রূপ হল ডেঙ্গু শক সিনড্রোম। ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বরের সঙ্গে সার্কুলেটরি ফেইলিউর হয়ে ডেঙ্গু শক সিনড্রোম হয়। এর লক্ষণগুলো হলো
- রক্তচাপ হঠাৎ কমে যাওয়া।
- নাড়ীর স্পন্দন অত্যন্ত ক্ষীণ ও দ্রুত হয়।
- শরীরের হাত পা ও অন্যান্য অংশ ঠান্ডা হয়ে যায়।
- শরীরের হাত পা ও অন্যান্য অংশ ঠান্ডা হয়ে যায়।
- প্রস্রাব কমে যাওয়।
- হঠাৎ করে রোগী জ্ঞান হারিয়ে ফেলতে পারে। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিকার
প্রতিটি রোগের বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে যার মাধ্যমে সহজে প্রতিকার করা সম্ভব। বর্তমান সময় বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এখন ভাইরাস জনিত রোগ গুলোর প্রাদুর্ভাব দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। তাইতো আমরা এখন বাংলাদেশে প্রতিটি অঞ্চলে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আজকে সকলের উদ্দেশ্যে আমরা ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিকার সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন নিয়ে এসেছি যেখানে ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিকার সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে আপনারা আমাদের এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার জানতে পারবেন এবং আপনার পরিচিত প্রতিটি মানুষের মাঝে শেয়ার করে তাদেরকে ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার সম্পর্কে জানাতে পারবেন। নিচের ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিকার তুলে ধরা হলো,
- জ্বর কমানোর জন্য শুধু প্যারাসিটামল বা এ জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করতে পারেন।
- জ্বরের মাত্রার উপর নির্ভর করে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা পর পর এই ঔষধ ব্যবহার করতে হবে।
- ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি দিনে ৪টি ঔষধ নিতে পারবেন। এর বেশি নিলে লিভারের সমস্যাসহ নানা ধরনের জটিলতা হতে পারে।
- ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে জ্বর কমাতে গিয়ে অ্যাসপিরিন অথবা ব্যথানাশক এনএসএআইডি গ্রুপের ঔষধ ব্যবহার না করার প্রতি কড়াভাবে নিষেধ করেন ডাক্তাররা।
- জ্বর কমানোর জন্য গরম পানিতে কাপড় ভিজিয়ে শরীর মুছতে পারেন অথবা গোসল করাটাও এক্ষেত্রে কার্যকরী।
- যেহেতু ডেঙ্গু রোগীরা অধিকাংশ সময়ই ক্লান্ত থাকেন, তাদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া জরুরি।
ডেঙ্গু হয়েছে কিনা কিভাবে জানবেন
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে ডেঙ্গু জ্বরের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। একজন সুস্থ মানুষের শরীরে ডেঙ্গু ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার তিন থেকে 15 দিনের মধ্যে ডেঙ্গুর উপসর্গগুলো প্রকাশিত হয়ে থাকে। এই উপসর্গ গুলোর মাধ্যমে একজন মানুষের ডেঙ্গু হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত ভাবে বলা যাবে না বরং পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ডেঙ্গু হয়েছে কিনা তা জানতে হবে। তাই আমরা আপনাদের উদ্দেশ্যে ডেঙ্গু হয়েছে কিনা কিভাবে জানবেন সে সম্পর্কে আলোচনা নিয়ে এসেছি এই আলোচনার মাধ্যমে আপনারা আপনাদের পরিচিত কিংবা পরিবারের মানুষদের শরীরে ডেঙ্গু রোগের উপসর্গগুলো প্রকাশিত হলে ব্যক্তিদের আক্রান্ত হয়েছে কিনা তা সহজে জানতে পারবেন। নিচে ডেঙ্গু হয়েছে কিনা কিভাবে জানবেন তা তুলে ধরা হলো,