ক্ষমা চাওয়া নিয়ে কিছু কথা ২০২৫| ক্ষমা চাওয়ার মেসেজ

মানব চরিত্রে প্রশংসনীয় গুণগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে ক্ষমা। অর্থাৎ মানব জীবনের একটি সুন্দর গুণ হচ্ছে ক্ষমা। যা মানুষকে সকলের কাছে প্রশংসনীয় করে তোলে। এটি একটি মহৎ গুণ। আমরা একজন মানুষের চরিত্র উন্নত এবং উত্তম চরিত্র হওয়ার জন্য যে গুণগুলো সম্পর্কে জানতে পারি তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে ক্ষমা করা। অর্থাৎ আচার-আচরণ কিংবা চলাফেরায় কোন রকম ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করা কিংবা ভুল কাজের জন্য লজ্জিত হওয়া অথবা অনুশোচনা করে ক্ষমা চাওয়া। ভুলের জন্য কারো কাছে ক্ষমা চাওয়া কিংবা কারো কোন রকম ভুল ক্ষমা করা প্রতিটি মহৎ ব্যক্তির পরিচয় বহন করে থাকে। তাই আমরা অবশ্যই আমাদের বাস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া সকল ভুলের ক্ষমা চাওয়া বিষয়টি নিজের জীবনে চর্চা করতে হবে। আমরা আজকে আমাদের প্রতিবেদনে আপনাদের সকলের উদ্দেশ্যে ক্ষমা চাওয়া নিয়ে কিছু কথা ২০২৩ একটু নতুন প্রতিবেদন শেয়ার করব।

পৃথিবীতে আমরা মানব চরিত্রের যে সমস্ত সুন্দর গুণের পরিচয় পেয়ে থাকি তার মত অন্যতম একটি গুন হচ্ছে ক্ষমা চাওয়া কিংবা ক্ষমা করা। এটি মূলত একজন ভালো মানুষের পরিচয় বহন করে থাকে। কেননা দৈনন্দিন জীবনে আমরা কাজে কর্মে কিংবা চলাফেরা অথবা আচার-আচরণে কোন না কোন ভুল সকলের কাছে করে থাকি। এই ভুলের জন্য আমাদের অবশ্যই ক্ষমা করার বিষয়টি নিজের জীবনের চর্চা করতে হবে। সেই সাথে বাস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া সকল ভুলের জন্য ক্ষমা করে দাও বিষয়টিও আমাদের জীবনে পরিচালনা করতে হবে। আমরা আমাদের বাস্তব জীবনে যে মহৎ গুণ গুলোর কথা জানতে পারি তার মধ্যে এই গুণটি হচ্ছে সর্বোত্তম একটি গুণ।

অর্থাৎ যিনি মানুষকে ক্ষমা করে দেন এবং যিনি তার ভুলের জন্য সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে থাকেন তিনি হচ্ছেন সকলের কাছে ভালো ও সম্মানিত একজন ব্যক্তি। বাস্তব জীবনে এমন ব্যক্তিদের সকলেই পছন্দ করে থাকে এবং সম্মান করে থাকে সেই সাথে তাদের জীবন আদর্শকে সকলেই অনুসরণ করার চেষ্টা করে। তাইতো ক্ষমা চাওয়া কিংবা ক্ষমা করা একটি প্রশংসনীয় কোন হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত। তাই আমাদের অবশ্যই বাস্তব জীবনের সকল ভুলগুলো ক্ষমা চাওয়ার মানসিকতা তৈরি করতে হবে সেই সাথে প্রতিটি ভুলের ক্ষমা করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে।

ক্ষমা চাওয়া নিয়ে কিছু কথা ২০২৫

বাস্তব জীবনে আমরা আমাদের চলাফেরা কিংবা কথাবার্তায় ছোট বড় বিভিন্ন ধরনের ভুল করে থাকি। আমরা হয়তো যখন ভুল কোন কিছু করে থাকি তখন নিজের ভুল বুঝতে পারি না কিন্তু আমাদের জীবনের এই ভুলগুলো আমরা একসময় বুঝতে পারি যার কারণে আমরা ভুলের জন্য অনুশোচনা করি। আমাদের জীবনে করা সকল ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য আমরা ক্ষমা চেয়ে থাকি। এটি মূলত একটি মানুষের জীবনের সুন্দর একটি আচরণ। যে আচরণের মাধ্যমে জীবনে ঘটে যাওয়া সকল ভুলের জন্য সুন্দর করে ক্ষমা চাওয়া হয়। এটি আমাদের সকলকে ভাল মানুষ হিসেবে তৈরি করতে সাহায্য করে। আমরা ইতিহাসে ভালো মানুষদের জীবনে অনুসরণ করলে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি জানতে পারি। তাই আজকে সকলের জন্য ক্ষমা চাওয়া নিয়ে কিছু কথা ২০২৩ অর্থাৎ মহান ব্যক্তিদের জীবনী থেকে আপনাদের মাঝে বেশ কিছু কথা তুলে ধরব। যেগুলো আপনাদের সকলকে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে সাহায্য করবে।

১। একজন বিশ্বাসীর সবচেয়ে বড় গুণ হলো ক্ষমা করতে পারা।
— হাসান আল বসরী (রঃ)

২। সুন্দর বিদায় হলো ক্ষতি না করে বিদায় নেয়া, সুন্দর ক্ষমা হলো বকা না দিয়ে ক্ষমা করা, সুন্দর ধৈর্য হলো অভিযোগ না রেখে ধৈর্য্ধারণ করা।
— ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ)

৩। যদি তুমি সত্যি শিখতে চাও কিভাবে ভালোবাসতে হয় তবে অবশ্যই কিভাবে ক্ষমা করতে হয় তাও শিখে নিতে হবে।
— মাদার তেরেসা

৪। দুর্বলরা কখনোই ক্ষমা করতে পারে না। ক্ষমা শুধু শক্তিশালীরাই করতে পারে।
— মহাত্মা গান্ধী

৫। মানুষের ভুল হবেই তবে ক্ষমা করতে পারা হলো স্বর্গীয়।
— সংগৃহীত

৬। ক্ষমাই যদি করতে না পারো, তবে ভালবাসো কেন ?
— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

৭। ক্ষমা করে দাও কেননা আমাদের মাঝে কেউই ভুলের বাইরে নয়।
— সংগৃহীত

৮। অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যত। হৃদয়ের জন্য কোন সময়ের সীমা নেই, সে তার আপন সময়টুকুই নেয়… ভালোবাসতে, ক্ষমা করতে, ভুলে যেতে।
— তারিক রামাদান

ক্ষমা চাওয়ার মেসেজ

আমরা অনেক সময় ভুল করে থাকি। তবে এই ভুল শুধরে নিতে ব্যর্থ হয়ে থাকে অনেকেই। মানুষ মাত্রই ভুল। ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে এবং কমাস আওয়ার মন-মানসিকতা রাখতে হবে। ভুল করলে আমরা সাথে সাথে ক্ষমা চেয়ে তার সমাধান করে নেব এটি মহৎ গুণ। ক্ষমা চাওয়ার এসএমএস খুঁজে থাকেন অনলাইনে কিছু সংখ্যক ব্যক্তি তাদেরকে কিছু এসএমএস প্রদান করে সহযোগিতা করার উদ্দেশ্যে এই প্রতিবেদনটি নিয়ে এসেছি। ক্ষমা চাওয়ার সুন্দর কিছু এসএমএস থাকছে নিচে।

যে ক্ষমা করতে জানে না তার হৃদয় যে কত ভয়ঙ্কর তা শুধু তার আচরণ দ্বারা উপলব্ধি করা যায়‌। ক্ষমাহীন মানুষ পশুর সমান।

 যার মাঝে প্রিয়জনকে হারানোর ভয় থাকে। সে তার নিজ ভুলের জন্য সাথে সাথে ক্ষমা চায়। কারন সে প্রিয়জনের মূল্য জানে।

ক্ষমাহীন দৃষ্টি কখনোই অনুতাপ করে না। যে ক্ষমা করে সে ক্ষমা পায়।

আপনি কাউকে ক্ষমা করতে জানলে আপনি অবশ্যই জীবন্ত। কারণ আমরা তো হৃদয় কখনো অন্যকে ভারমুক্ত করতে জানেনা।

 তুমি যখন প্রথমবার অবহেলা করেছিলে, আমি শতগুণ ক্ষমার দৃষ্টিতে তোমার কাছে এসেছিলাম। তোমায় ভালোবাসি বলেই তো এতো এতো আয়োজন।

 কতটুকু মানসিক শক্তির দরকার হলে একজন মানুষ অপরজনকে ক্ষমা করতে পারে? ঠিক যতটুকু আপনি অন্যের কাছ থেকে আশা করা ঠিক ততটুকু ক্ষমায অন্যজনকে দান করুন।

তুমি এক যুগ পর্যন্ত আমার উপর অভিমান করে থাকো, অথচ যে কোন একটা মুহূর্তে আমি তোমাকে হাজার বার ক্ষমা করে দিতে পারি।

ক্ষমা মানুষের মৃতপ্রায় হাজারো অনুভূতিকে এক মুহূর্তে জাগিয়ে তুলতে পারে। ক্ষমার গুন যে কত বড় তা শুধুমাত্র ক্ষমাপ্রাপ্ত ব্যক্তি জানে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *