ই পর্চা eporcha.gov.bd যে কোন খতিয়ান দেখতে ভিজিট করুন

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের ভূমির মালিকদের সুযোগ সুবিধার জন্য নতুন একটি সেবা চালু করেছে যার নাম হচ্ছে ই-পর্চা। এটি বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ের একটি যুগোপযোগী উদ্যোগ। পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষের কাছে একটি মূল্যবান সম্পদ হচ্ছে ভূমি যেখানে মানুষ বসবাস করে থাকে কৃষি কাজ করে থাকে। অর্থাৎ পৃথিবীতে মানুষের বিচরণযোগ্য জায়গা হচ্ছে ভূমি পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ বসবাসের জায়গা কিংবা নিজের বিভিন্ন প্রয়োজনে এই ভূমি ব্যবহার করে থাকে প্রতিটি মানুষের স্বপ্নই হচ্ছে কৃষি কাজের জন্য না হোক অন্তত বসবাসের জায়গা টুকু নিজের করে পাওয়া। পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ নিজের জমিতে বসবাস করতে অনেক পছন্দ করে থাকে এবং তৃপ্তি পেয়ে থাকে। তাইতো ভূমির মালিকদের সুযোগ সুবিধার জন্য এখন অন্যান্য ক্ষেত্রের মত ভূমি সংক্রান্ত সকল বিষয়ে অনলাইন এর পরিষেবা চালু করা হয়েছে যার অন্যতম একটি পরিষেবা হচ্ছে ই-পর্চা। তাইতো অনেকেই অনলাইনে ভূমি সংক্রান্ত বিষয় সম্পর্কে জানতে চান। তাদের জন্য আজকে ই-পর্চা কি সে সম্পর্কে আমরা বিস্তারিতভাবে তথ্যগুলো তুলে ধরেছি। আমাদের এই প্রতিবেদনের আলোকে আপনারা ই-পর্চা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন।
পৃথিবীতে সবচেয়ে মানুষ নিজের বসবাসযোগ্য জায়গাটুকু কিংবা কৃষি কাজের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা নিজের করতে চাই। মানুষগুলো তো ভূমি ব্যবহার করে তাদের বসবাসের জায়গা তৈরি করে থাকে। এমনকি কৃষি কাজের ফসল ফলানোর জন্য এই ভূমি ব্যবহার করে এছাড়াও শিল্প কলকারখানা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো কত নির্মাণ স্কুল কলেজ মাদ্রাসা মসজিদ মন্দির কিংবা বড় বড় কোম্পানি সকল কিছুতে ব্যবহার করা হয়। ভূমি সংক্রান্ত সকল কাজ মূলত একটি দেশের ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে সম্পন্ন হয়ে থাকে। বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশের প্রতিটি ভূমির মালিকের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন ধরনের নিয়ম চালু করেছে।
প্রতিটি ভূমির মালিক ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সকল কিছু সম্পর্কে জানতে পারে। বর্তমানে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে এখন প্রতিটি ক্ষেত্রে ইন্টারনেট এর ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে তাই এখন ভূমি সংক্রান্ত সকল বিষয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সহজেই জানা যাচ্ছে। এখন একজন মানুষ ঘরে বসে তাদের ঘুমের প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন খতিয়ান কিংবা পর্চা বের করা অথবা ভূমির মালিক সম্পর্কে সঠিক তথ্য বের করা সকল কিছু ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে সহজেই পাচ্ছে। তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি মূলত ভূমির মালিকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সেবা গুলো দিয়ে তাদেরকে ভূমি সংক্রান্ত সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে সাহায্য করছে।
ই-পর্চা কি
বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির একটি নতুন ভূমি সংক্রান্ত পরিসীমার নাম হচ্ছে ই পর্চা। বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ের এই সেবাটি বর্তমান সময় বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলের ভূমি মালিকদের ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট ভাবে জানতে সাহায্য করছে। তাইতো এখন একজন মানুষ ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য ঘরে বসেই এই সুযোগ-সুবিধা গুলো সহজেই পেয়ে যাচ্ছে। তাই আমরা আজকে আপনাদের উদ্দেশ্যে ই-পর্চা কি সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তথ্যগুলো তুলে ধরব। আমাদের এই তথ্যগুলোর আলোকে আপনারা ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের ইন্টারনেট ভিত্তিক পরিষেবা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিতে পারবেন এবং ঘরে বসে সকল পরিসেবা লাভ করতে পারবেন। নিচে ই-পর্চা সম্পর্কিত তথ্যগুলো তুলে ধরা হলো:
বাংলাদেশের আইন অনুসারে সাধারণত খতিয়ান ও পর্চা চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে=
- সিএস খতিয়ান
- এসএ খতিয়ান
- আরএস খতিয়ান
- বিএফ খতিয়ান/ সিটি জরিপ
অনলাইনে ই পর্চার আবেদন
এই পর্যায়ে ওয়েবসাইট ব্যবহার করার জন্য প্রথমে আপনাদের যে ভাবে আবেদন করতে হবে তার নিম্নে দেয়া হল-
- প্রথমে আপনাদের ই-পর্চা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
- এরপর নাগরিক অপশন থেকে আপনাদের লগইন করে নিতে হবে।
- লগইন করার পর আপনার আবেদনের সকল তথ্য যাচাই করতে হবে।
- আপনারা যদি আবেদন না করে থাকেন তাহলে নাগরিক কর্নার অপশন থেকে আবেদন করতে পারেন।
খতিয়ান অনুসন্ধান (অনলাইনে জমির মালিকানা যাচাই)
জমির একটি গুরুত্বপূর্ণ হিসাব হচ্ছে খতিয়ান অর্থাৎ জমির দখল রক্ষা থেকে শুরু করে জমি বিক্রয় বিভিন্ন ক্ষেত্রে খতিয়ান ব্যবহার করা হয়। খতিয়ানের মাধ্যমে একজন মানুষ তার নির্দিষ্ট জমি সহজেই বের করতে পারে। তাইতো অনেকেই এখন ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে খতিয়ান অনুসন্ধান করে থাকেন। তাদের উদ্দেশ্য আজ আমরা নিয়ে এসেছি খতিয়ান অনুসন্ধান সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন আমরা আপনাদের উদ্দেশ্যে আজকে ভূমি সংক্রান্ত খতিয়ান অনুসন্ধান সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তথ্যগুলো তুলে ধরব। এই তথ্যগুলোর আলোকে আপনারা খতিয়ান অনুসন্ধান সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং অনলাইন এর মাধ্যমে খতিয়ান অনুসন্ধান করতে পারবেন। নিচে খতিয়ান অনুসন্ধান তুলে ধরা হলো:
- এটি যাচাই করার জন্য আপনাদের অবশ্যই বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ই-পর্চা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। https://eporcha.gov.bd/khatian-search-panel
- এরপর সেখান থেকে আপনাদের বিভাগ সিলেট করতে হবে।
- আপনি যে বিভাগে জমির মালিকানা যাচাই করতে চান সে বিভাগ উল্লেখ করতে হবে।
- তারপর আপনাদের ক্রমান্বয়ে জেলা, উপজেলা এবং মৌজা নির্বাচন করতে হবে।
- আপনার খতিয়ানটি কোন ধরনের হবে সেটি উল্লেখ করতে হবে।
- এরপর খতিয়ান নং, দাগ নং এবং মালিকের নাম উল্লেখ করতে হবে।
- সর্বশেষ পর্যায় ই-পর্চা ওয়েবসাইটে একটি ক্যাপচা কোড আসবে সে ক্যাপচা কোড অনুসন্ধান বাটনে ক্লিক করতে হবে।
আপনারা যখন অনুসন্ধান বাটনে ক্লিক করবেন ঠিক তখনি আপনার আজমের পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেয়ে যাবেন।
ই-পর্চা লগইন
বাংলাদেশ সরকার এর ভূমি মন্ত্রণালয় এখন বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলের ভূমির মালিকদের ইন্টারনেট ভিত্তিক পরিষেবা চালু করেছে। ইন্টারনেট ভিত্তিক পরিষেবার মাধ্যমে এখন একজন ভূমির মালিক ঘরে বসে তাদের ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের তথ্য যাচাই-বাছাই এমন কি ভূমির হিসাব সহজেই করতে পারছে। তারা অনলাইনের মাধ্যমে এখন ই-পর্চা লগইন করার মাধ্যমে ভূমির বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে সহজে জানতে পারছে। তাইতো অনেকেই ই-পর্চা লগইন সম্পর্কিত তথ্যগুলো বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অনুসন্ধান করে থাকেন তাদের উদ্দেশ্যে আজকের এই প্রতিবেদনটি আমরা নিয়ে এসেছি। আপনারা ই-পর্চা লগইন সম্পর্কে যারা বিস্তারিতভাবে জানতে চান তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে তথ্যগুলো দেখে নিন।
ই-পর্চা অনুসন্ধান
অনেকে অনলাইনে ই-পর্চা অনুসন্ধান সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে তথ্যগুলো অনুসন্ধান করে থাকেন তাদের উদ্দেশ্যে আজ আমরা একটি নতুন প্রতিবেদন শেয়ার করেছি। এই প্রতিবেদনের আলোকে আপনারা ই-পর্চা অনুসন্ধান সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। বর্তমানে ভূমি মন্ত্রণালয় দেশের প্রতিটি ভূমির মালিকের জন্য অনলাইন ভিত্তিক পরিষেবা অর্থাৎ ই পর্চা চালু করেছে। যার মাধ্যমে একজন মানুষ নিজস্ব ভূমি সম্পর্কে ঘরে বসে স্মার্টফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে সহজে বের করতে পারে। তাইতো অনেকেই ই-পর্চা অনুসন্ধান করে থাকেন তাদের উদ্দেশ্যে এই প্রতিবেদনটি তুলে ধরা হয়েছে। নিচে ই-পর্চা অনুসন্ধান সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তথ্যগুলো তুলে ধরা হলো,
ই-পর্চা বের করার নিয়ম
আপনি কি অনলাইন ভিত্তিক ভূমি সংক্রান্ত পরিষেবা ই-পর্চা বের করার নিয়ম গুলো জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আপনাদের জন্য আজকের প্রতিবেদনটি তুলে ধরা হয়েছে।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের ঝামেলা লেগেই চলেছে। যার কারণে এখন ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে মানুষের অনলাইন নীতি পরিষেবা গুলো ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে। তারা এখন স্মার্টফোনের মাধ্যমে ঘরে বসে ভূমির বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সহজে সমাধান করে থাকে। তাই আমরা আজকে অনলাইন ভিত্তিক ভূমি সংক্রান্ত পরিষেবা ই-পর্চা বের করার নিয়ম তুলে ধরেছি। আপনারা যারা ঘরে বসে ই-পর্চা বের করার নিয়ম গুলো জানতে চাচ্ছেন তারা আমাদের এই প্রতিবেদনটি দেখে নিন।
- প্রথমে ভিজিট করুন https://eporcha.gov.bd/khatian-search-panel
- বিভাগ নির্বাচনঃ আপনার নিজস্ব বিভাগ এখানে নির্বাচন করতে হবে।
- জেলা নির্বাচনঃ আপনি কোন জেলার অন্তর্ভুক্ত তা এখানে নির্বাচন করুন।
- খাতিয়ান টাইপ নির্বাচনঃ আপনি মুলত কোন ধরনের খতিয়ান বের করতে চান তা নির্বাচন করুন।
- উপজেলা নির্বাচন করুনঃ আপনি কোন উপজেলার অন্তর্ভুক্ত তা এখানে নির্বাচন করুন।
- মৌজা নির্বাচন করুনঃ আপনার মৌজার নাম কি তা নির্বাচন করুন।
- খতিয়ান নংঃ আপনি যে জমির খতিয়ামটি বের করতে তা এখানে সিলেক্ট করুন।
- দাগ নাম্বারঃ যদি আপনার জমির দাগ নাম্বারটি থেকে থাকে তাহলে এখানে সিলেক্ট করুন।
- মালিকানা নামঃ মালিকানা নাম যদি থাকে তাহলে এখানে মেনশন করুন
- পিতা/স্বামীর নামঃ পিতা/স্বামীর থাকলে তা এখানে নির্বাচন করুন।
- ক্যাপচা কোড লিখুনঃ এখানে উল্লিখিত ক্যাপসা কোডটির অনুরুপ ফাঁকা জায়গাতে টাইপ করুন।
ই-পর্চা আবেদন
অনলাইন ভিত্তিক সেবা কিংবা ইন্টারনেট ভিত্তিক পরিষেবা আমাদের জীবন জুড়ে বর্তমান সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে প্রতিটি ক্ষেত্রে এখন আমরা এই পরিষেবা গ্রহণ করার মাধ্যমে আমাদের বিভিন্ন বিষয় সহজেই সমাধান করতে পারি। বর্তমান সময়ে ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে এখন ই-পর্চা মাধ্যমে সহজে জানা সম্ভব হচ্ছে। তাইতো অনেকেই ই-পর্চা আবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে চান। তাদের জন্য আজকে ই-পর্চা আবেদন অর্থাৎ অনলাইনের মাধ্যমে ভূমি সংক্রান্ত সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা লাভ করার বিষয়টি সম্পর্কে তুলে ধরবো যার মাধ্যমে আপনারা আবেদন করতে পারবেন এবং ঘরে বসে ভূমির যাবতীয় বিষয় জানতে পারবেন। নিচে ই-পর্চা আবেদন সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে সকল তথ্য তুলে ধরা হলো,