কন্যা সন্তান নিয়ে ইসলামিক স্ট্যাটাস
কন্যা সন্তানকে কেন্দ্র করে ইসলাম কি বলেন এই বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে কিছু স্ট্যাটাস সংগ্রহ করেছি আপনাদের জন্য। আপনারা যারা কন্যা সন্তানের পিতা কিংবা মাতা হয়েছেন তাদের জন্য এই ইসলামিক স্ট্যাটাস গুলো সম্পর্কে জানা বিশেষ প্রয়োজন। নিজেরা জানার পাশাপাশি অনলাইনে তুলে ধরার মাধ্যমে সেই সমস্ত কুসংস্কার বিশ্বাসী ব্যক্তিদের মাঝে এমন তথ্য তুলে ধরতে পারেন। এমন স্ট্যাটাস গুলো প্রদান করার ক্ষেত্রে আমরা গুরুত্ব প্রদান করে থাকি এর কারণ এখনও সমাজে অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা কন্যা সন্তানকে পছন্দ করেন না। তাদের চিন্তা-ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
ইসলাম কন্যা সন্তান সম্পর্কিত বিষয় সম্পর্কে যে সঠিক তথ্যগুলো প্রদান করেছে একজন কন্যা সন্তানের পিতা-মাতা হিসেবে কতটা রহমত যে বিষয়গুলো ইসলাম প্রদান করেছেন সেই বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করেই আমরা কিছু স্ট্যাটাস আপনাদের মাঝে প্রদান করে সহযোগিতা করব। নিঃসন্দেহে আমাদের আলোচনা থেকে কন্যা সন্তান কেন্দ্রিক ইসলামিক স্ট্যাটাস গুলো সংগ্রহ করে উপকৃত হতে পারবেন আপনি। এর জন্য সময় নিয়ে আমাদের সাথে থাকতে হবে আমরা আপনাদের জন্য সুন্দর কিছু স্ট্যাটাস নিয়ে উপস্থিত হয়েছি এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে।
কন্যা সন্তান নিয়ে ইসলামিক স্ট্যাটাস
প্রিয় ভাই ও বোন আপনাদের সহযোগিতার কথা চিন্তা করে আমরা কন্যা সন্তানের উপর ভিত্তি করে ইসলামিক সুন্দর স্ট্যাটাস গুলো নিয়ে এসেছি। একজন মুসলিম হিসেবে অবশ্যই সকল বিষয়ের উপর সচেতন থাকা প্রয়োজন। সকল বিষয়কে কেন্দ্র করে ইসলামে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে এই নির্দেশনার বিশেষ সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে তবেই আমরা জীবনকে সহজভাবে তুলে ধরতে পারবো বুঝতে পারবো ইসলামের সঠিক নির্দেশনাগুলো। এখনো মানুষ ইসলাম সম্পর্কিত বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান অর্জন করতে পারেনি অনেকেই জানেনা ইসলামের সঠিক নির্দেশনা। অসংখ্য ব্যক্তিদের মধ্যে কুসংস্কারের ভাবনাগুলো রয়ে গেছে তাদেরকে অবশ্যই ইসলাম সম্পর্কিত বিষয়ে বিশেষ জ্ঞান অর্জন করতে হবে। প্রিয় পাঠক বন্ধু আমরা মূলত কন্যা সন্তানের উপর ভিত্তি করে ইসলামিক স্ট্যাটাস গুলো আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার উদ্দেশ্য গ্রহণ করে এই আলোচনা নিয়ে এসেছি সময় নিয়ে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে উপকৃত হওয়ার জন্য বিশেষভাবে বলছি।
১. কন্যা সন্তান এই পৃথিবীতে আল্লাহর পক্ষ থেকে সুন্দর নেয়ামত গুলোর মধ্যে একটি। যার আগমনে পুরো পরিবারই যেন আলোকিত হয়ে ওঠে।
২. প্রতিটি সন্তানই তার বাবা-মায়ের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিশেষ রহমতস্বরূপ। কন্যা সন্তান হচ্ছে তার এক অনন্য উদাহরণ।
৩. আলহামদুলিল্লাহ কন্যা সন্তানের পিতা হিসেবে আমি একজন গর্বিত মানুষ। আল্লাহ যেন আমার ঘরে এক প্রদীপ দিয়েছেন।
৪. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, “ওই স্ত্রী তার স্বামীর জন্য অধিক বরকতময় যার দেনমোহরের পরিমাণ কম হয় এবং প্রথম সন্তান কন্যা সন্তান হয়।”
৫. আমাদের সমাজে কন্যা সন্তানদেরকে বোঝা মনে করা হয়। অথচ আল্লাহ দয়া করে কন্যা সন্তানদেরকে এক বিশেষ নেয়ামত স্বরূপ দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন।
৬. আল্লাহর দরবারে ও শেষ শুকরিয়া আদায় করি। কারণ আল্লাহ আমাকে একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান দান করেছেন।
৭. যে ঘরে কন্যা সন্তান থাকে সে ঘরে এমনিতেই রহমত আর বরকত বৃদ্ধি পায়। আল্লাহ যেন প্রতিটি অন্য সন্তানদেরকে আরও বরকতময় করে দেন।
৮. কন্যা সন্তানের আগমন বুঝি সত্যিই আল্লাহর পক্ষ থেকে সুসংবাদ। প্রথম সন্তান মেয়ে হলে সৌভাগ্য বয়ে আনে।
৯. পূর্ণ সন্তান জন্ম হলে আমরা অনেকেই মুখ কালো করে ফেলি। অথচ আল্লাহ এরকমটা করতে নিষেধ করেছেন।
১০. প্রতিটি কন্যা সন্তানে আল্লাহর দয়া এবং রহমত নিয়ে বাবার রাজকুমারী হয়ে থাকুক। আর বিয়ে পরবর্তী সময়ে হয়ে উঠুক রানী।
কন্যা সন্তান নিয়ে ক্যাপশন
কন্যা সন্তানকে কেন্দ্র করে ক্যাপশন সংগ্রহের উদ্দেশ্য গ্রহণ করে থাকলে এই আলোচনা থেকে বিভিন্ন ধরনের ক্যাপশন সংগ্রহ নিতে পারবেন। অনেক পুত্র সন্তান লাভের আশায় গর্ভধারণ করেন আবার অনেকেই কন্যা সন্তানের আশায়। তবে যাদের প্রধান সন্তান তারা মূলত যেকোনো একটি সন্তান হলেই সন্তুষ্ট থাকেন। কন্যা সন্তান সকল অবস্থাতেই কল্যাণকর ইসলাম এমনটাই বলেছেন আমাদের। তাই গ্রুপের সাথে কন্যা সন্তানকে কেন্দ্র করে ক্যাপশনগুলো আপনাদের মাঝে প্রদান করার ইচ্ছে নিয়ে ক্যাপশন গুলো তুলে ধরছি।
১. নিঃসন্দেহে কন্যা সন্তান একটি পরিবারের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিশেষ উপহার। তাই আপনার কন্যা সন্তানকে আগলে রাখুন।
২. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও একজন কন্যা সন্তানের পিতা ছিলেন। তার উম্মত হিসেবে আপনিও নিজের কন্যাকে ভালোবাসুন।
৩. ছোটবেলা থেকেই প্রতিটি কন্যা সন্তানের মধ্যে মাতৃসুলভ আচরণ লক্ষ্য করা যায়। কারণ তারা যে আল্লাহর পক্ষ থেকে উৎসর্গিত নেয়ামত।
৪. কন্যা সন্তান সবার হয় না। বরং আল্লাহ যাকে দয়া করেছেন তাকেই কন্যা সন্তান দান করেছেন।
৫. খুলনা সন্তান জন্ম হবার পর যেন আল্লাহর রহমতে সেই ঘরে সর্বদাই সৌভাগ্য বিরাজ করে। আর এই কন্যা সন্তান তার বাবার হৃদয়ে বাস করে এবং মায়ের বন্ধু হয়ে ওঠে।
৬. মহান আল্লাহ তাআলা যখন খুশি হন তখন বান্দাকে কন্যা সন্তান দান করেন। অথচ আমরা অনেকেই এই উপহারকে অবহেলা করি।
৭. একটি ছোট্ট নিষ্পাপ কন্যা শিশু তার বাবার কাছে দৌড়ে আসছে এর চেয়ে সুন্দর দৃশ্য আর কি হতে পারে! আল্লাহ যেন প্রতিটি বাবাকে এরকম সৌভাগ্য নসিব করেন।
৮. শুধুমাত্র ছেলেরা নয় তার পাশাপাশি মেয়েরাও বংশের বাতি হতে পারে। আল্লাহ যে তার তাদেরকে নেয়ামত দিয়ে পূর্ণ করেছেন।
৯. আমার কোনো সন্তান আমার এক সুখী মুহূর্তের বিশাল পৃথিবী। আল্লাহ যেন আমাকে দয়া করে দু হাতে সুখ তুলে দিয়েছেন।
যখন কারো ঘরে কন্যা সন্তান জন্ম নেয়, তখন আল্লাজ তা’লাহ ফেরেস্তাদের প্রেরণ করেন। যে এসে বলে, “হে ঘরের অধিবাসিরা” তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। (হাদিস ১৩৪৮৪)
যে ব্যাক্তিকে কন্যা সন্তান লালন পালনের দ্বায়ীত্ব দেওয়া হয়েছে, এবং সে ধৈর্যের সাথে তা সম্পাদন করেছে, সেই কন্যা সন্তান তার জন্য জাহান্নামকে আড়াল করে দিবে। (জামে তিরমিযী, হাদিস ১৯১৩)
রাসূল (সাঃ) বলছেন, যে ব্যাক্তির কন্যা সন্তান আছে এবং সে তাদের প্রতি সদয় আচরন করেছেন। সে কিয়ামতের দিন জাহান্নাম থেকে বাঁচার ঢাল হিসাবে পাবে। (বুখারী, মুসলিম)
কন্যা সন্তান লালন পালনের তিনটা উপহার রয়েছে আল্লাহর তরফ থেকে। ১। জাহান্নাম থেকে মুক্তি। ২। জান্নাতের প্রেবেশের নিশ্চয়তা। ৩।জান্নাতে রাসূল (সাঃ) এর সঙ্গী হয়ার সৌভাগ্য। (হযরত মুহাম্মদ সাঃ)
কন্যা সন্তানদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করতে পারি।
কন্যা সন্তানদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা, সহানুভূতি, শ্রদ্ধা ও মর্যাদা প্রদর্শনের মাধ্যমে আমরা তাদের জীবনে আলোক জ্বালিয়ে দিতে পারি।
ইয়া রব তোমার রহমত ও বরকত হিসাবে যে কন্যা সন্তান আমাকে দান করেছো, তার জন্য কোটি কোটি শুকরিয়া তোমার কাছে।
যে ব্যক্তির ঘরে কন্যা সন্তান থাকে, তার উপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়।(ইবনে মাজাহ)
যে ব্যক্তি তার কন্যা সন্তানদের প্রতি দয়ালু ও সদয় আচরণ করে, সে জান্নাতের দরজা খুলে দেয়। (তিরমিযি)
যে ব্যক্তি তার কন্যা সন্তাদের প্রতি ভালোবাসা ও মর্যাদা প্রদর্শন করে, সে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করে। (ইবনে মাজাহ)
যে ব্যক্তি তিন কন্যা সন্তান বালিগ হওয়া পর্যন্ত লালন-পালন করে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।(সুনানে তিরমিযি)
কন্যা সন্তান লালন-পালন করা একজন মু’মিনের জন্য জিহাদের সমান।(তিরমিযি)
যে ব্যক্তি কন্যা সন্তানের প্রতি দয়াশীল আচরণ করে, সে আল্লাহর প্রতি দয়াশীল আচরণ করে। (তিরমিযি)
হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, কন্যা সন্তানকে যত্ন সহকারে লালন-পালন করা আল্লাহর কাছে অত্যন্ত পছন্দনীয় কাজ। কন্যা সন্তান আল্লাহর অমূল্য বরকত।
ইয়া রব তোমার দানকৃত আমার কন্যা সন্তানকে যেনো আমি ইহ জগত ও পরজগতের জন্য আমার সুফল বয়ে আনার জন্য তাকে মানুষ করতে পারি।
ইসলামে কন্যা সন্তানকে কেবল আল্লাহর রহমত ও বরকত বলে মনে করা হয় না, বরং তাদেরকে সমাজের মূল্যবান সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আলহামদুল্লিলাহ। আল্লাহর অশেষ রহমতে একজন কন্যা সন্তান দান করেছেন আল্লাহ আমাকে।
আজ নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। আল্লাহ আজ আমাকে একটি কন্যা সন্তান দান করেছেন।
কন্যা সন্তানদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর রহমত লাভ করতে পারি।
আমার কন্যা সন্তানের প্রতি সহানুভূতিশীল ও দয়ালু আচরণ করার তৌফিক দিও ইয়া আল্লাহ।
কন্যা সন্তানদের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও মর্যাদা প্রদর্শনের মাধ্যমে আমরা তাদের জীবনে আলোক জ্বালিয়ে দিতে পারি।
ইয়া রব কন্যা সন্তানদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আমরা যেনো আল্লাহর সন্তুষ্টি ও জান্নাতের পথ লাভ করতে পারি।
প্রথম কন্যা সন্তানে পিতামাতা হোয়ার সুখ কখনো ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আলহাদুল্লিলাহ আমার প্রথম সন্তান কন্যা সন্তান।
আল্লাহর কাছে সব সময় চাইতাম , যে আল্লাহ যেনো আমাকে প্রথম সন্তান হিসাবে কন্যা সন্তান দান করেন। আলহাদুল্লিলাহ। প্রথম কন্য সন্তানের বাবা/মা হলাম।
প্রথম কন্যা সন্তানের মুখ দেখার পর বারবার মনে হচ্ছে, জীবনে হয়তো কোন ভালো কাজ করেছিলাম।
কন্যা সন্তানদের প্রতি আমাদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তাদেরকে আত্মবিশ্বাসী ও সফল নারীতে পরিণত করতে পারে।
ইয়া আল্লাহ আপনি আমাকে একজন কন্যা সন্তান দান করেছেন। আমার কন্যা সন্তানকে দীনের আমল করার তৌফিক দিও মাবুদ।