প্রবাসীর মাকে নিয়ে কিছু কথা ২০২৫, উক্তি ও স্ট্যাটাস

প্রবাসীরা মূলত নিজের পরিবার পরিজন আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব ও নিজের মাতৃভূমি ছেড়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অর্থ উপার্জনের জন্য অবস্থান করে থাকেন। তবে প্রতিনিয়ত দিনের পর দিন পরিবারের প্রতিটি মানুষের ছেড়ে দূর প্রবাসে দিন কাটিয়ে থাকেন। পৃথিবীতে প্রতিটি মা সন্তানের জন্য নিজের সর্বোচ্চটুকু মিলিয়ে দিয়ে সন্তানকে ভালোবেসে আগলে রাখেন। কোন মা তার সন্তানকে দূরে পাঠাতে চান না। প্রতিটি ভাষায় তার সন্তান যেন তার চোখের সামনে থাকে। কিন্তু ভাগ্য নির্মম পরিবেশে প্রবাসীরা মাকে ছেড়ে দূর প্রবাসী দিন কাটিয়ে থাকেন। যার ফলে প্রতিটি প্রবাসী মা প্রতিনিয়ত সন্তানদের জন্য কষ্ট পেতে থাকেন। প্রতিনিয়ত তারা সন্তানদের জন্য প্রার্থনা করে থাকেন। কেননা পৃথিবীতে মা বেঁচে থাকতে তাদের সন্তানকে চোখের আড়াল করতে চান না। তাই আজকে আমরা প্রবাসীর মায়ের বাস্তব চিত্র তুলে ধরার জন্যই এই প্রতিবেদনটিতে প্রবাসী মাকে নিয়ে কিছু কথা, উক্তি ও স্ট্যাটাস সংগ্রহ করেছি যেগুলো বাস্তব জীবনের প্রতিটি প্রবাসীর মায়ের জীবন চিত্র আপনাদের মাঝে তুলে ধরবে।

প্রবাসী বলতে মূলত তাদেরকে বোঝায় যারা শুধুমাত্র অর্থ উপার্জনের জন্য নিজের প্রিয় মাতৃভূমি বাবা-মা ভাই-বোন আত্মীয় স্বজনদের ছেড়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করে থাকেন তারাই হচ্ছে প্রবাসী। পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষ নিজের পরিবার পরিজন আত্মীয়দের সাথে সুখে-দুখে দিন কাটাতে চায়। কিন্তু ভাগ্য নির্মাণ পরিহাসে অনেককেই পরিবারের মানুষের সুখের কথা বিবেচনা করে এবং পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মসংস্থানের জন্য ছুটতে হয়। আবার অনেক রয়েছেন যারা প্রতিনিয়ত নিজের দেশ মাতৃভূমি ছেড়ে প্রবাস জীবনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন।

কেননা পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষ নিজের পরিবারের প্রতিটি মানুষের চাহিদা ও অর্থনৈতিক সচ্ছলতার জন্য অর্থ উপার্জন করা দরকার। তাইতো প্রতিটি মানুষের উন্নত জীবনের কথা চিন্তা করে এবং পরিবারের অর্থ সচ্ছলতার জন্যই প্রবাসীরা মূলত নিজের জীবনের সমস্ত আনন্দ বিসর্জন দিয়ে প্রবাসে যাত্রা করেন। প্রবাসী এর অর্থ প্রতিটি মানুষকে সুখী করতে পারলেও প্রতিনিয়ত প্রবাসীর মায়ের মনে সন্তানকে দূরে রাখার যন্ত্রণা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে থাকে।

প্রবাসীর মাকে নিয়ে কিছু কথা

পৃথিবীতে মা হচ্ছে মমতাময়ী। যারা সন্তানদের ভালবেসে আগলে রাখেন এবং সন্তানদের চোখের আড়াল করতে চান না। পৃথিবীর প্রতিটি মা সুখে দুখে বিপদ আপদে সন্তানদের সামনেই রাখতে চায়। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে প্রবাসীর মায়েদের ইচ্ছে গুলো পূরণ হয় না কেননা তাদের ছেড়ে প্রবাসীরা দূর প্রবাসে অবস্থান করেন। প্রবাসীর মায়েরা হচ্ছে মহীয়সী নারী। যারা সন্তানদের দূর প্রবাসে পাঠিয়ে ত্যাগ স্বীকার করেন। সেজন্য আজকে আপনাদের উদ্দেশ্যে প্রবাসীর মাকে নিয়ে কিছু কথা সংগ্রহ করেছি যেগুলো বাস্তব জীবনে প্রবাসীর মায়ের গুরুত্ব এবং একজন প্রবাসীর মায়ের ত্যাগ সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে। আমাদের এই গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো প্রতিটি প্রবাসীর মায়ের বাস্তব চিত্র আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করবে। নিচে প্রবাসীর মাকে নিয়ে কিছু কথা উপস্থাপন করা হলো:

১: আপনি যতই বড় হন না কেন, আপনার জান্নাত আপনার মায়ের পায়ের নিচে! তাই “মা” কে ভালোবাসুন, কোন সময় কষ্ট দেবেন না।

২: বৃদ্ধাশ্রমে যাওয়াটা মায়ের দূর্ভাগ্য নয়, দূর্ভাগ্য ওই সন্তানের যে জান্নাত চিন্তে পারেনি।

৩: মায়ের সাথে সব কিছু শেয়ার করা মানুষগুলো কখনোই পথভ্রষ্ট হয় না!

৪: পৃথিবীর সব চেয়ে শান্তির জায়গা হল-(মায়ের কোল)

৫: মা ছাড়া পৃথিবীটা অন্ধকার, যাদের মা বেঁচে আছেন। তারা একবার বলি, আলহামদুলিল্লাহ

৬: মা ও,মা – একটা প্রশ্নের জবাব দাও?
এই দুনিয়াটা কেন তোমার মত না?

৭: খাবার খেয়ে “মায়ের আঁচলে” মুখ মুছার মতো শান্তি পৃথিবীতে আর কোনো কিছুতে পাওয়া যাবে নাহ।

৮: ক্ষুধার্ত সন্তানের কান্না – একজন মায়ের কাছে করোনা ভাইরাসের চেয়েও ভয়ংকর।

প্রবাসীর মাকে নিয়ে উক্তি

প্রবাসীর মায়েরা মূলত সন্তানদের প্রবাস জীবনের জন্য প্রতিনিয়ত দুশ্চিন্তায় ভুগতে থাকেন। কেননা তারা দূর প্রবাসে সন্তানেরা কিভাবে আছে সেটা দেখতে না পেয়ে প্রতিনিয়ত সন্তানের চিন্তায় ডুবে থাকেন। মায়েরা মূলত এমনই হয় যারা সন্তানদের চোখের আড়াল করতে পছন্দ করে না। তাইতো প্রবাসীর মাকে নিয়ে জ্ঞানী গুণীজন তাদের জীবনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাণী উক্তি প্রকাশ করেছেন যেগুলো আমরা বাস্তব জীবনে একজন প্রবাসীর মায়ের সম্পর্কে জানতে পারি। আজকে এজন্য আপনাদের উদ্দেশ্য প্রবাসীর মাকে নিয়ে কিছু কথা তুলে ধরা হয়েছে যেগুলো আপনাদের প্রত্যেক থেকে প্রবাসীর মায়ের সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে জানতে সাহায্য করবে। তাই আপনারা যারা প্রবাসীর মাকে নিয়ে উক্তিগুলো জানতে চান তারা প্রতিবেদনটি দেখে নিন।

১: -লাইফে সাকসেস হতে চাইলে -নিজের বাবা-মা কে কখনো কষ্ট দিওনা

২: মৃত্যুর জন্য অনেক রাস্তা আছে।
কিন্তু জন্ম নেওয়ার জন্য শুধু মা আছে।

৩: আপনি যদি আপনার পিতা-মাতাকে সম্মান করেন। তাহলে আপনার ভবিষ্যৎ প্রজন্মও আপনাকে সম্মান করবে।

৪: আল্লাহর দেওয়া সব চেয়ে বড় উপহার হল “মা”

৫: মা এমন একটা সম্পদ”
যা হারিয়ে গেলে, পৃথিবীর কোথাও তা আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।

৬: ভালোবাসতে সবাই পারে,
তবে মায়ের মতও কেউ ভালোবাসতে পারে না!

৭: স্ত্রীকে খুশি করা একজন স্বামীর দায়িত্ব, কিন্তু মা-বাবা কে বাদ দিয়ে নয়। অবশ্যই মা-বাবার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সন্তান হিসেবে এটা আপনার দায়িত্ব।

৮: প্রত্যেক শিক্ষার্থীর সফলতার পেছনে তাদের মায়ের বকা ,ঝকা, জুতা, ইত্যাদির অবদান ব্যাপক।

প্রবাসীর মাকে নিয়ে স্ট্যাটাস

প্রবাসীর মায়েরা সাধারণত মহীয়সী ও ত্যাগী নারী। কেননা পৃথিবীর কোন মা তার সন্তানকে দূরে পাঠাতে পছন্দ করেন না। প্রতিটি মা তার সন্তানকে চোখের সামনে সুখে-দুখে রাখতে চাই। কিন্তু প্রবাসীর মায়েদের ক্ষেত্রে ঠিক উল্টো ঘটে থাকে। কেননা তারা জীবনের আনন্দ খুশির দিনগুলো তো সন্তানদের ছেড়ে দূরে থাকেন। সন্তানদের ছেড়ে দূরে থাকার কারণে প্রতিনিয়ত প্রবাসীর মায়েদের মনে সন্তানদের প্রতি চিন্তা তৈরি হয় । এজন্য আজকে প্রবাসীর মাকে নিয়ে স্ট্যাটাস গুলো আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করেছি। যেগুলো আপনাদের সবাইকে প্রবাসীর মায়ের বাস্তব জীবন সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে এবং চিন্তা ধারণা গুলো তুলে ধরবে। আপনারা যারা একজন প্রবাসীর মায়ের বাস্তব জীবন সম্পর্কে জানতে চান তারা এই প্রতিবেদন থেকে স্ট্যাটাস গুলো দেখে নিন।

১: মায়ের মধুর হাসির কাছে, ভয় ও হার মানে।

২: আমি গরিব হয়েও পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধনী
কারণ আমার কাছে পৃথিবীর শ্রেষ্ট সম্পদ আমার মা আছে।

৩: সকল সন্তানের কাছে অনুরোধ মায়ের এই সৃতি গুলো সারা জীবন মনে রেখো মায়েরা এর বেশি কিছু চায় না

৪: মা পৃথিবীতে অমূল্য সম্পদে সম্পর্ক। মা বাবা আমাদের ছাদ বন্ধু ভালবাসা প্রেম প্রীতি ন‍্যায় জ্ঞান বিবেক নৈতিক ধৈর্য্য আর আপন জনের আপন জন।

৫: মায়ের কোলের মতো আর কোথাও পাওয়া যাবে না। মায়ের কোল আমার প্রথম পৃথিবী ।

৬: মা শব্দটি বড়ই অদ্ভুত তাই না একবার মা ডাকলে সব কস্ট যেনো দূরে সরে যায়

৭: মা, যার কোনো বিকল্প নেই , যার মা নেই পৃথিবীতে তার কিছুই নেই

৮: বৃদ্ধ মাকে বিদ্ধশ্রমে না পাঠিয়ে আপনার সন্তানের দেখাশোনা করার দায়িত্ব দিন।
দেখবেন আপনার সন্তান দুনিয়ার সব থেকে ভালো বন্ধু খুজে পাবে।

৯: মা মানে – মিষ্টি বকুনি দিয়ে আবারও আদর করে ডাক দেওয়া একজন। যেই বকুনির আড়ালে রয়েছে ভালোবাসা আর ভালোবাসা।