ইসলামে বিবাহ করার নিয়ম, ইসলামে বিবাহ করার যোগ্যতা, কালিমা পরে বিয়ের নিয়ম

বিবাহ পবিত্রতম একটি বন্ধন এর নাম। এটি প্রতিটি নারী পুরুষের জন্য মহান আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে ফরজ করা হয়েছে। তাইতো নির্দিষ্ট একটি বয়সের প্রতিটি নারী-পুরুষ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহের মতো পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে একজন পুরুষ কিংবা একজন নারী জীবনসঙ্গী হিসেবে একজন পুরুষ ও নারীকে পেয়ে থাকে। যার ফলে তারা সকল ধরনের জৈব চাহিদে পূরণ করার বৈধ একজন সঙ্গী পেয়ে থাকে এবং চন্দন জন্মদানের স্বীকৃতি অর্জন করে। মহান আল্লাহ তাআলা ইসলামের জীবনবিধানের মাধ্যমে বিবাহ সম্পর্কে বেশ কিছু নির্দেশনা প্রদান করেছে যেগুলো ইসলাম প্রিয় মানুষ যথাযথভাবে পালন করে পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে দাম্পত্য জীবন শুরু করে থাকে। তাইতো ইসলাম প্রিয় প্রতিটি মানুষ ইসলামিক দিকনির্দেশনা গুলো অনুযায়ী পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে নিজের নতুন জীবন শুরু করে থাকেন। কিন্তু বর্তমান সময় আমাদের সমাজে অধিকাংশ বিয়ের বিভিন্ন ধরনের সংস্কৃতি মোতাবেক সংঘটিত হচ্ছে যেখানে ইসলামের সকল বিধান অনুপস্থিত রয়েছে। তাই আমরা আজকে আপনাদের উদ্দেশ্যে ইসলামের বিবাহ করার নিয়ম ইসলামে বিবাহ করার যোগ্যতা কালিমা পড়ে বিয়ে করার নিয়ম গুলো তুলে ধরেছি। আপনারা আজকের আলোচনার মাধ্যমে ইসলামিক বিধান অনুসারে পবিত্র বন্ধনের সকল কিছু জানতে পারবেন।

মহান আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে পৃথিবীর প্রতিটি সুস্থ স্বাভাবিক মুসলিম নারী পুরুষের জন্য বিবাহ ফরজ করা হয়েছে। এটি একটি পবিত্র বন্ধন যার মাধ্যমে মহান আল্লাহ তাআলা একে অপরের প্রতি বিশ্বাস সম্মান শ্রদ্ধা ভালোবাসার অনুভূতিগুলো দান করে থাকে। শুধুমাত্র দুনিয়ার জীবনে বিবাহ কিংবা জীবনসঙ্গী প্রয়োজন রয়েছে তা নয় বরং পরকালের জীবনেও গুরুত্ব রয়েছে। একজন উত্তম জীবনসঙ্গী কিংবা সঙ্গিনী দুনিয়া ও আখেরাতের জীবনে কল্যাণ ও সফলতা লাভের সাহায্য করে থাকে।

বিশ্বের প্রতিটি ধর্ম ও জাতিতে নিজস্ব ধর্ম সংস্কৃতি ও রীতিনীতি অনুযায়ী তাদের বিবাহের প্রতিটি নিয়ম পালিত হয় এবং বিবাহ সংঘটিত হয়ে থাকে। তবে পৃথিবীর প্রতিটি ধর্ম ও জাতি তাদের সংস্কৃতি মেনে সামাজিক এই প্রথাটি পালন করে থাকে। পৃথিবীতে একমাত্র ধর্ম হচ্ছে ইসলাম যেখানে পরিপূর্ণ জীবনে সমস্ত কিছু তুলে ধরা হয়েছে। জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত একজন মানুষের সকল দিক-নির্দেশনা সুন্দর এই জীবন বিধানের মাধ্যমে প্রতিটি মুসলিম ও মুমিন ব্যক্তি জানতে পারে এবং নিজের জীবন পরিচালনা করতে পারে। তাইতো ধর্মপ্রাণ প্রতিটি মুসলিম পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য ইসলামিক নিয়ম নীতিগুলো অনুসরণ করে পরিপূর্ণভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে। কেননা ইসলামে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার সমস্ত নিয়ম-নীতি সুন্দর ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।

ইসলামে বিবাহ করার নিয়ম

পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ জীবন বিধান হচ্ছে ইসলাম যেখানে প্রতিটি মানুষের জীবনের সকল দিক-নীতি ও দিক নির্দেশনা সুন্দরভাবে প্রদান করা হয়েছে। জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত একজন মানুষ জীবনের প্রতিটি নিয়ম নীতি ইসলামের জীবন বিধান থেকে সহজেই জানতে পারে এবং তা অনুসরণ করে নিজের জীবনকে পরিচালনা করতে পারে। মহান আল্লাহ তা’আলা পৃথিবীর প্রতিটি মুসলিম নারী পুরুষের জন্য যে বিষয়গুলো ফরজ করে দিয়েছেন তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিবাহ এটি মূলত প্রতিটি মানুষের জীবনের একটি নতুন পথচলা। প্রতিটি মুসলিম ইসলামের দিক নির্দেশনার মাধ্যমে পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার নিয়ম গুলো সহজেই জানতে পারি। তাইতো অনেকে ইসলামের বিবাহ করার নিয়ম অর্থাৎ ইসলামের জীবন বিধান অনুসারে জীবন বিবাহের নিয়ম গুলো জানতে চান তাদের জন্য আজকে ইসলামের বিবাহ করার নিয়ম গুলো সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছি। আপনারা এই নিয়ম গুলো অনুসরণ করে সহজেই পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবেন এবং নিজের সুন্দর জীবন শুরু করতে পারবেন। নিচে ইসলামের বিবাহ করার নিয়ম গুলো তুলে ধরা হলো,

এক. বর-কনে উভয়ে বিয়ে সংঘটিত হওয়ার ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা থেকে মুক্ত হওয়া।

দুই. ইজাব বা প্রস্তাবনা: এটি হচ্ছে বরের কাছে মেয়ের অভিভাবক বা তার প্রতিনিধির পক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাব উপস্থান করা। যেমন, ‘আমি অমুককে তোমার কাছে বিয়ে দিলাম’ অথবা এ ধরনের অন্য কোনভাবে প্রস্তাব পেশ করা।

তিন: কবুল বা গ্রহণ করা: এটি বর বা তার প্রতিনিধির সম্মতিসূচক বাক্য। যেমন, ‘আমি কবুল বা গ্রহণ করলাম’ ইত্যাদি।

ইসলামে বিবাহ করার যোগ্যতা

ইসলামে বিবাহ করার যোগ্যতা সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হয়েছে যেখান থেকে প্রতিটি মুসলিম নারী পুরুষ নিজের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ বিবাহ করার যোগ্যতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারি। তাইতো আমরা আজকে আপনাদের উদ্দেশ্যে ইসলামের বিবাহ করার যোগ্যতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তথ্যগুলো নিয়ে এসেছি। আপনারা যারা ইসলামের বিবাহ করার যোগ্যতা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে চাচ্ছেন তাদের জন্যই এই প্রতিবেদনটি শেয়ার করা হয়েছে। আপনারা আমাদের প্রতিবেদন থেকে ইসলামের বিবাহ করার যোগ্যতা সম্পর্কে তথ্যগুলো জেনে নিয়ে আপনার পরিবার পরিজন সকলকে ইসলামের বিবাহ করার যোগ্যতা সম্পর্কে জানাতে পারবেন। নিচে ইসলামে বিবাহ করার যোগ্যতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো,

কালিমা পরে বিয়ের নিয়ম

ইসলামের পাঁচটি ফরজ স্তম্ভের মধ্যে প্রথম স্তম্ভ হচ্ছে কালিমা যা প্রতিটি ও মুসলিমের সর্বপ্রথম পরিচয় বহন করে থাকে। ইসলামিক জীবন বিধানের প্রতিটি মানুষের জীবনে কালিমার গুরুত্ব রয়েছে। তাইতো ইসলামের নিয়ম অনুসারে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য বিয়ের পর অনেকে কালিমা পড়ানো হয়। তাইতো অনেকেই কালিমা করে বিয়ের নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তাদের জন্য আজ আমরা কালিমা পড়ে বিয়ের নিয়ম গুলো তুলে ধরেছি। আপনারা কালিমা পড়ে বিয়ের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে সকল তথ্য আমাদের ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করে কালিমা পড়ে বিয়ের নিয়ম গুলো জানতে পারবেন। নিচে কালিমা পড়ে বিয়ের নিয়ম গুলো তুলে ধরা হলো,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *